করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা সৌদি আরবের মক্কার মসজিদুল হারাম ও কাবায় ভিড় নিয়ন্ত্রণ করেই সবার জন্য খুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে দেশটির সরকার। শিগগিরই কাবা শরিফের আংশিক জায়গা দর্শনার্থী, তাওয়াফকারী ও নামাজিদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে আল-আরাবিয়া জানায়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করতে মানুষের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করেই সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে মসজিদুল হারাম ও কাবা শরিফ। এজন্য সৌদি কর্তৃপক্ষ বেশকিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
পরিকল্পনাগুলো হচ্ছে-
১. মসজিদুল হারাম ও কাবা শরিফের নির্ধারিত ৪০ শতাংশ জায়গা উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
২. নামাজ ও তাওয়াফে অংশগ্রহণের জন্য ‘তাওয়াক্কালনা অ্যাপ’ এর মাধ্যমে মসজিদে হারাম ও কাবা শরিফে প্রবেশ পথ ও বাহির হওয়ার পথ জেনে নিতে হবে।
৩. মসজিদে হারাম ও কাবা শরিফে প্রবেশে নির্ধারিত সব প্রবেশ পথেই থার্মাল (তাপ) ক্যামেরা থাকবে। এ ক্যামেরার সামনে দিয়ে প্রত্যেককে প্রবেশ করতে হবে।
৪. উচ্চ তাপমাত্রার যে কাউকেই মসজিদে হারাম ও কাবা শরিফে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তাদের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
৫. ভিড় এড়াতে নির্ধারিত প্রবেশ পথ দিয়ে ঢুকতে হবে এবং নির্ধারিত পথ দিয়েই বের হতে হবে।
৬. মসজিদুল হারাম ও কাবা শরিফের প্রবেশ পথ সীমিত ও নির্ধারিত থাকবে।
৭. মসজিদুল হারাম ও কাবা শরিফে প্রত্যেকের জন্য সামাজিক দূরত্ব যথাযথভাবে কার্যকর থাকবে।
৮. মসিজিদুল হারামে প্রবেশকারী সবার জন্য মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক।
৯. তাওয়াফকারীদের জন্য কাবা শরিফের মূল (গ্র্যান্ড ফ্লোর) মাতাআফ, প্রথম ও দ্বিতীয় তলার নির্ধারিত অংশ বরাদ্দ থাকবে। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় তলা ব্যবহারে বিশেষ প্রয়োজনযুক্ত ও প্রবীণদের জন্য ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে।
এ ছাড়া ওমরাহ ও হজের জন্য নির্দিষ্ট নিয়মে সাত (প্রদক্ষিণ) চক্করের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হয় এ তাওয়াফ। তবে শুক্রবার পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদুল হারাম ও কাবার নিকটবর্তী অঞ্চলগুলো দর্শনার্থীদের জন্য নিয়ন্ত্রিত (বন্ধ) থাকবে বলেও সূত্রে জানা যায়।
Leave a Reply